নতুন ভোটার হতে কি কি নিয়ম ও কাগজ পত্র লাগে?

 

নতুন ভোটার হতে  প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গুলো।



প্রাথমিক পর্যায়

সরকার প্রতি বছর বা ২ (দুই) বছর পরপর অথবা ০৩ ( তিন) বছর পর  নতুন ভোটার করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করে উপজেলা ভিত্তিক ভোটার নিবন্ধন ফরম-২  পুরন তথ্য সংগ্রহ করে  নতুন ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করে।

এই কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এলাকা ভিত্তিক বা ওয়ার্ড ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়। তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ফরম-২ পুরন করে নির্বাচন অফিসে জমা দেয় । নির্বাচন অফিস উক্ত এলাকায় বা ইউনিয়ন/ওয়ার্ড  কাউন্সিলর এর কার্যালয়ে ছবি তোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারন করে মাইকিং করে অথবা লোকাল প্রতিনিধির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়।

 

১ প্রশ্নঃ নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজ পত্রাদি প্রয়োজন?

 জন্ম নিবন্ধন সনদ এর বাংলা ও ইংরেজি কপি ...

এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), এছাড়াও জে. এস. সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ এর ফটোকপি বর্তমানে গ্রহনযোগ্য করে।

  ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিক সনদ,

 বাবা-মার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি। ( কেউ মৃত হলে মৃত্যু সনদ কোন কোন ক্ষেত্রে)

এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি,

 পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন (TIN) নম্বর (যদি থাকে)।

  • 1. S.S.C. or equivalent certificate
  • 2. Birth certificate
  • 3. Passport / Driving license / TIN certificate
  • 4. Utility bill copy/House rent receipt/Holding tax receipt – (as a proof of address)
  • 5. Citizenship certificate (as applicable)
  • 6. Father, Mother, Husband/wife's ID card photocopy.

 

 

২। প্রশ্নঃ আমি যথা সময়ে ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি। এখন কি করা যাবে?

উত্তরঃ আপনি যে কোন সময়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। উপরোক্ত সকল কাগজ পত্র সংগ্রহ করে অনলাইনের মাধ্যমে নির্ভুল ভাবে আবেদন করে আবেদন এর কপির সহিত সমস্ত কাগজ পত্র আপনার লোকাল নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। 

তারপর নির্বাচন অফিস আপনাকে ছবি তোলা, হাতের আঙ্গুলের ছাপ ও স্বাক্ষর অথবা টিপসহি নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ দিবে অথবা আপনার মোবাইলে মেসেজ আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে সেইদিন আপনাকে সেখানে স্ব-শরীরে উপস্থিত হতে হবে।


৩। প্রশ্নঃ আমি বিদেশে অবস্থানের কারণে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি, এখন কিভাবে করতে পারবো?

উত্তরঃ আপনি যে কোন সময়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।


৪। প্রশ্নঃ আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি। এখন কিভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি?

উত্তরঃ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে অনলাইনে রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড এর কপি ডাউনলোড করে নিন।


৫। প্রশ্নঃ ভোটার তালিকার নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা?

উত্তরঃ ভোটার তালিকার ডাটাবেজে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার অবকাশ নাই।


৬। প্রশ্নঃ কোথা হতে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে?

উত্তরঃ অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।


৭। প্রশ্নঃ আমি বিদেশে চলে যাব। আমার কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?

উত্তরঃ অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সোহাগ ইনফোটেক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url